MS Excel সম্পর্কে কিছু ভূমিকা ও অফিসিয়াল কাজে এর গুরুত্ব।

Ms Excel এই প্রোগ্রামটি Microsoft Office স্যুটের সাথেই দেওয়া হয়ে থাকে। মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহার করে গানিতিক, পরিসাংখ্যানিক, লজিক সহ বিভিন্ন রকম হিসাব ব্যবহার করা যায়। মাইক্রোসফট এক্সেলের ফাইলকে Work book বলা হয়। ফাইলের যে অংশে কাজ করা হয় তাকে কার্যক্ষেত্র (Work sheet) বলে। কতগুলো ওয়ার্কশীট নিয়ে এক একটা ওয়ার্কবুক বা বুক তৈরি হয়। প্রতিটি ওয়ার্কশীটে আবার ২৫৬টি কলাম এবং ৬৫৫৩৬ টি রো থাকে। স্তম্ভ (কলাম) গুলোকে A,B,C…AA,AB…BA,BB,BC…IV ইত্যাদি নামকরণ করা হয়। অন্যদিকে সারি (রো) গুলোর নম্বর ১ থেকে শুরু করে ৬৫৫৩৬।

সারি এবং স্তম্ভের সমন্বয়ে তৈরি হয় এক একটি ঘর (cell)। প্রতিটি কার্যক্ষেত্রে ১৬,৭৭৭,২১৬টি cell রয়েছে।
 
Excel সম্পর্কে উপরের এধণের ভূমিকা আপনি একটু গুগল করলেই পাবেন। সত্যি বলতে গেলে, আমিও বাংলা উইকিপিডিয়া খেকে  উপরের লেখাটুকু কপি করেছি। তাই আমি বলতে চাচ্ছি যে, ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই অনেক অনেক সাইট পাবেন যেখানে Excel সম্পর্কে এধরণের হাজার হাজার ভূমিকা ও কিছু বেসিক Excel সম্পর্কে ধারণা ও ফ্রি কিছু টিওটোরিয়াল দেওয়া আছে। তাই আমি ভাবছি, আমি আমার এই সাইটে এমন গতানুগতিক গদবাধা কিছু টিপস্ ও টিউটোরিয়ল না দিয়ে সকলের আসলেই উপকার হয় এমন কিছু দেওয়ার। যাতে করে সহজেই সবাই এখান থেকে একটু ভালো ভাবে এবং খুব সহজেই এক্সেলটা মোটামুটি শেষ পর্যন্ত শিখতে পারেন এবং তাদের কর্মক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। 
অফিসিয়াল কাজে MS Excel এর গুরুত্বঃ 

অফিসিয়াল কাজে MS Excel এর গুরুত্ব যে কত বেশি সেটা বলে শেষ করা যাবে না। আপনি হয়ত বলবেন ধুর ভাই এখন কত রকমের সফট্ওয়ার আছে বাজারে, এই সব এক্সেল-ফেক্সেল এর কি দরকার আবার অফিসের কাজের জন্য! হ্যাঁ আপনার কথা সত্য ভাই, বাজারে অনেক রকমের  সফটওয়ার ঠিকই আছে, তবে অফিসের কাজের জন্য MS Excel এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক কথায় বস্।

এমন কথা আমি আবার কেন বলছি? ভাই আমি আমার কাজের বাস্তব অভিঞ্জতা থেকে বলছি। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনার পরিচিত আরো দু পাঁচ জন বন্ধু কিংবা বড় ভাইয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে দেখতে পারেন,  যারা অফিসিয়াল ডেক্স জব করেন। যেমন: সেলস্ রিপোর্ট কিংবা পে-রোল এর কাজ করেন অথবা বিভিন্ন ধরণের সার্ভের অথবা গবেষণামূলক কাজের জন্য নানান রকমের ডাটা নিয়ে কাজ করতে হয় এমন মানুষদের কাছে আপনি Excel এর গুরুত্ব কি এটা জানতে চাইলে হয়ত আপনাকে বলেই বসতে পারে যে, ভাই Excel ছাড়া আমি অচল। Excel নাই তো আমার কাজও নাই। তার কারণ Excel  ছাড়া তারা তাদের কাজের কথা কল্পনাই করতে পারেন না।
যে কাজ বা রিপোর্টগুলো সাধারণ ভাবে করতে আপনার এক ঘন্টা লেগে যায়, সেই কাজগুলোই খুব সহজে এবং সম্পূর্ণ নির্ভূল ভাবে আপনি হয়ত মাত্র ১৫-২০ মিনিটের ভেতরই করে ফেলতে পারবেন যদি কিনা Excel এর উপর আপনার সঠিক দক্ষতা ও জ্ঞান থাকে।
Excel শুধুমাত্র কাজের ক্ষেত্রে সময়ই বাচায় তাই নয় বরং কাজকে করে নিভূর্ল, সহজ ও প্রেজেন্টেবল। নানান রকমের সফটওযার থেকে আপনি তাদের নির্দিষ্ট কিছু ডিফল্ট প্যার্টনেই আপনার রিপোর্টের আউটপূট পাবেন। ইচ্ছে করলেই সেই রিপোর্ট গুলোকে আপনি আপনার  মনের মত করে সাজাতে পারবেন না। কিন্তু Excel জানা থাকলে আপনি বিশাল আকাশে মুক্ত ডানা মেলা পাখির মত স্বাধীন। যখন যেমন খুশি আপনি আপনার কাজকে আপনার মত করে সাজাতে পারেন। কারণ Excel জিনিসটি সাগরের মত বিশাল। এর কাজের কোন শেষ নাই। আপনি আপনার দক্ষতা ও জ্ঞান দিয়ে জন্ম দিতে পারেন আপনার মনের মত নানার রকমের ফাংশন, সূত্র, মডিউল ইত্যাদি। যেমন করে একজন কবি কিংবা সাহিত্যিক জন্ম দেন তার মনের ইচ্ছা মত নানান রকেমর কবিতা, ছড়া, উপন্যাস। যার কোন শেষ নাই। এটা একান্ত্ই আপনার  ইচ্ছা ও চর্চার বিষয়। আপনি  Excel কে শুধুমাত্র যোগ বিয়োগ এর কাজে ব্যবহার করবেন নাকি; Excel এর মহাসমূদ্রে বিচরণ করে আপনার আসে পাশে থাকা আরও দশ জনের চাইতে ভালো কাজের আউটপুট দিয়ে নিজেকে সবার চেয়ে সেরা জায়গাটিতে দেখবেন – এটি সম্পূর্ণ আপনার নিজের বিষয়।
আমি চাই আপনি আর ১০ জনের চাইতে সেরা হউন, আপনার বস্ আপনাকে অন্যদের চেয়ে একটু কেয়ার করুক। আর সেজন্যেই আমি চেষ্টা করবো Basic Excel এর পাশাপাশি Advanced Excel ও শেখাতে। আশা করি আমার সাথেই থাকবেন।

Leave a Comment